মডেল নাজের লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: মঙ্গলবার ভোরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার জি... বিস্তারিত→
প্রধান প্রতিবেদক , উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: সবচেয়ে বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটে ঢাকা বিভাগে গত ১০ বছরে । গত ১০ বছরে দেশে ছোট-বড় অন্তত ১৬ হাজার আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারায় ১ হাজার ৫৯০ জন। জানা যায়, সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটে গত বছর। তাছাড়া হতাহত বেশি হয় ২০১১ সালে। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া যায়।
গত ১০ বছরে বড় আগুনের ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালে, পুরান ঢাকার নিমতলীতে। এতে নিহত হন ১২৪ জন। তার পরের বছর সাভারের আশুলিয়ায় তাজরীন ফ্যাশনসের আগুনে প্রাণ হারান ১১১ জন। আর ২০১৬ সালে টঙ্গীর টাম্পাকো ফয়েলস কারখানার আগুনে মারা যায় ৪১ জন। ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান বলেন, অগ্নিপ্রতিরোধের ব্যবস্থা রাখা বিনিয়োগ হিসেবে দেখতে হবে। কারণ আগুনে জীবন ও সম্পদের অনেক বেশি ক্ষতি হয়। অনেকেই মনে করেন, আগুন লাগলে দেখা যাবে, এ জন্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেন না। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সব ক্ষেত্রে নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকতে হবে। যাতে আগুনের সময় অন্তত ১০-১৫ মিনিট প্রতিরোধ করা যায়। এর সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিতে হবে। ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা আরও বাড়ানোর পক্ষেও মত দেন তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১০ সালে সারা দেশে ১৪ হাজার ৬৮২টি আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে ২৭১ জন নিহত ও ৭৯৪ জন আহত হন। ২০১১ সালে ১৫ হাজার ৮১৫টি দুর্ঘটনায় ৩৬৫ জন নিহত ও ১ হাজার ৪৭৯ জন আহত হন।
দ্যাটস ইট স্পোর্টস ওয়্যার, আশুলিয়া ২০১০ সালের ১৪ ডিসেম্বর, নিহত ২৯ জন একইভাবে ২০১২ সালে ২১০ জন নিহত ও ৮০৩ জন আহত, ২০১৩ সালে ১৬১ জন নিহত ও ১ হাজার ৪৭১ জন আহত, ২০১৪ সালে ৭০ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত, ২০১৫ সালে ৬৮ জন নিহত ও ২৫৪ জন আহত, ২০১৬ সালে ৫২ জন নিহত ও ২৬৭ জন আহত, ২০১৭ সালে ৪৫ জন নিহত ও ২৮৪ জন আহত এবং ২০১৮ সালে ১৩০ জন নিহত ও ৬৭৭ জন আহত হন। এতে ৪ হাজার কোটি টাকার ওপর আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
গরিব অ্যান্ড গরিব গার্মেন্টস, গাজীপুর ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, নিহত ২১গরিব অ্যান্ড গরিব গার্মেন্টস, গাজীপুর ২০১০ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি, নিহত ২১পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, দেশের আট বিভাগের মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি আগুনের ঘটনা ঘটে। আর সবচেয়ে কম আগুনের ঘটনা ঘটে সিলেট বিভাগে। নতুন গঠিত ময়মনসিংহ বিভাগেও আগুনের সংখ্যা সিলেটের চেয়ে বেশি।
এদিকে, ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, অন্য বিভাগীয় শহরের তুলনায় ঢাকার আয়তন, বয়স, ভবন ও মানুষের সংখ্যা, কারখানা সবই বেশি। তাই ঢাকায় ঝুঁকি ও দুর্ঘটনার হার বেশি।
গাজীপুরের ম্যালটিফ্যাবস বয়লার বিস্ফোরণ ২০১৭ সালের ৩ জুলাই, নিহত ১৩ জন আগুনের পর সূত্রপাত সম্পর্কেও তদন্ত করে ফায়ার সার্ভিস। এসব তদন্তে দেখা যায়, বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণেই বেশি আগুনের ঘটনা ঘটে।
২০১৮ সালের ১৯ হাজার ৬৪২টি অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে ৭ হাজার ৮২৫টি আগুনের ঘটনা ঘটেছে বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে। চুলার আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে ৩ হাজার ৪৪৯টি, আর সিগারেটের আগুন থেকে ৩ হাজার ১০৮টি।
মন্তব্য করুন