
লিখিত বক্তব্যে মেহেরুন নেছা বলেন, গত বছরের ১২ নবেম্বর তার স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে একই গ্রামের আমানত সরকার, খান মাহমুদ, সকেন আলী ও আবুল হোসেনসহ কয়েকজন প্রায় চার যুগ ধরে ভোগদখলকৃত সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। গত ফেব্রুয়ারি ২ তারিখে ৫ বিঘা আয়তনের একটি পুকুরে তার ভাতিজা আজাদুল ইসলাম মাছ ধরতে গেলে ওই আমানত সরকার গংরা হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় আমাকেও দুর্বৃত্তরা লাঞ্চিত করে। একই সঙ্গে বছরে লাখ টাকা চাঁদা দিয়ে পুকুরে মাছচাষ করার হুমকি দিয়ে যায়।
এদিকে মূমুর্ষূ অবস্থায় আমার ভাতিজাকে নিয়ে তাড়াশ থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নিতে অস্বীকার করা হয়। নিরুপায় হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলা করি। মামলা নং ১০/১৯। মামলা দায়ের করার সাত দিনের মধ্যে তাড়াশ থানার ওসিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন আদালত। ইতোমধ্যে ১৮ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। এখনও তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়নি। বরং ওই তদন্ত প্রতিবেদন দিতে ৩০ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।
সাংবাদিকদের মেহেরুন নেছা এও বলেন, তিনি বিষয়টি অভিযোগ আকারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে দিয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুস সোবাহান, গাজী সিদ্দিকুর রহমান, গাজী আব্দুস সোবাহান মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মেহেরুন নেছার সাথে একমত পোষণ করেন।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ৫ বিঘা নয় একটি ডোবা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা। এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়।
………………………………………………………………………………………………..
বি: দ্র:: আপনাদের যে কোনো দুঃখ-দুর্দশার সংবাদ জানাতে পারেন আমাদের, আমাদের সাহসী টিম চলে যাবে আপনার দ্বার প্রান্তে । পরিশেষে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন । ধন্যবাদ – প্রয়োজনে :: +৮৮০১৭১৫৩০০২৬৫