পিকে হালদারের ৩ হাজার কোটি টাকা ফ্রিজ
স্টাফ রিপোর্টার : প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ মাথায় নিয়ে বিদেশে পাড়ি... বিস্তারিত..
সুব্রত পাল,মহানগর প্রতিবেদক :: অভিযোগ যেখানে পাহাড় সমান, অভিমান সেখানে বেমানান। অনিয়ম হলে সংবাদ প্রকাশ হবেই আর এটাই স্বাভাবিক। কেননা অনিয়ম থেকেই উৎপত্তি অন্যায়ের । সম্প্রতি রাজশাহী মহানগর ডিবির কতিপয় পুলিশ সদস্য নানাবিধ অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন। অর্থের বিনিময়ে মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসীদের সহায়তা দেয়া, উৎকোচ, নিরাপরাধীদের আটকে পেন্ডিং মামলায় জড়ানো, মিথ্যা দোষারোপে স্বনামধন্য ব্যক্তিদের ফাঁসানোর চেষ্টা, সম্পত্তি জবর দখলসহ রাজশাহী মহানগর ডিবি পুলিশের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান সব অভিযোগ। সব অভিযোগ গণমাধ্যমের সামনে আসেনি। আবার অনেকে ভয়ে মুখ খোলেনি।
আবার হয়রানির ভয়ে নীরবে অত্যাচার সহ্য করছেন অনেক ভুক্তভোগী। তবে সারা দেশের আলোচিত ইস্যু পুলিশী নির্যাতনের ঘটনায় রাজশাহীতে অভিযুক্ত পুলিশের শাস্তি হয় কি না, এই নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে জনমনে।
অন্যদিকে পুলিশ সদর দফতরের প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড ডিসিপ্লিন (পিএসডি) শাখায় জমা পড়ছে রাজশাহী ডিবির পিএসআই সালাম, এএসআই রহিদুল ও কনস্টেবল মিলটনের বিরুদ্ধে কয়েকটি অভিযোগ ।এর মধ্যে পিএসডি শাখায় অভিযোগ জমা দেয়া নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিযোগকারী বলেন – তারা আটক বাণিজ্যের সাথে সক্রিয় আছেন কিনা খোদ হেড কোয়ার্টার তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক ,কারণ আমি তো ভুক্তভোগী ,আমি তাদের অনুরোধ জানিয়েছি ।
অনুসন্ধানে জানা যায় – মার্চ মাসের অনু: ৩ তারিখে সন্ধ্যা ৬ তার দিকে চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে আসা একটি বাস থেকে ৬০ বোতল ফেনসিডিল নামিয়ে শাহীন নামের এক মাদক ব্যাবসায়ীকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয এই ডিবির সদস্যরা।সেই সাথে ৬০ বোতল ফেনসিডিল কনস্টেবল মিলটনের বাসায় ৩/৪ দিন রেখে তা বিক্রি করা হয় ভাটাপাড়া এক মাদক ব্যাবসায়ীর কাছে ।
একই মাসের ১৫ তারিখে কেশবপুর ফাড়ীর নিকট গুড়িপাড়ার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আশরাফুল (৩৪)এর বৌ জনৈকা চুমকি কে ইয়াবা বহন করছে অযুহাতে অফিসে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে পিএসআই সালাম এএসআই রহিদুল ও কনস্টেবল মিল্টন।পরবর্তীতে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ঐ দিনই অনু: রাত ৮ টার দিকে তাকে ছেরে দেওয়া হয়।আর এটা সবটাই একান্ত আস্থাভাজন কনস্টেবল মিল্টন ও পিএসআই সালাম আর এটা তাদের নৈমিত্তিক ঘটনা।
তবে বিশেষ অনুসন্ধানে জানা যায় – রাজশাহী ডিবিতে বর্তমানে চলছে স্বজনপ্রীতি। এ ক্ষেত্রে পুলিশ অফিসারদের যোগ্যতা মুখ্য বিষয় নয় । মুখ্য বিষয় কার দেশের বাড়ি কোন জেলায় । তাইতো পিএসআই দিয়ে চলছে ডিবির বিভিন্ন অভিযান ।
আটক বাণিজ্যের আরো কিছু নমুনা তুলে ধরা হলো
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের রাজশাহী এডভোকেট আবু মোত্তালেব বাদল বলেন, সম্প্রতি রাজশাহী ডিবির কতিপয় সদস্যর বিরুদ্ধে ব্যাপক গ্রেফতার বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গেছে । ২০১৫ সালে পুলিশের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০ হাজার অভিযোগ জমা পড়ে পিএসডি শাখায়। তবে এর প্রকৃত সংখ্যা অনেক বেশি। কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে সাধারণ মানুষ পুলিশের কাছেই আশ্রয় খুঁজেছে। আর দীর্ঘদিন থেকেই পুলিশ শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার গুরুদায়িত্ব পালন করে আসছে। অপরাধ দমন করাই তাদের কাজ। আর সে পুলিশই যদি অপরাধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষ কোথায় যাবে….? তবে মানবাধিকার কমিশন উক্ত বিষয়গুলি পুলিশ সদর দফতরের প্রফেশনাল স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড ডিসিপ্লিন (পিএসডি) শাখায় অবহিত করেছে । আশা করি দ্রুত ফলাফল আসবে ।
জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র এডিসি ইফতেখায়ের আলম বলেন, পুলিশ সদস্যরা যদি এই ধরণের অপরাধে জড়িত হয় তবে প্রমান সাপেক্ষে অবস্যই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
………………………………………………………………………………………………………………………………………………………… উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।
মন্তব্য করুন