স্টাফ রিপোর্টার,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::কখনো সোর্স, কখনো সমাজসেবী আবার কখনো তিনি মাদক ডিলার। বাবু, যার নামের সাথে কাজের আকাশ আর পাতাল পার্থক্য। রাজশাহীর কাটাখালীর টাঙ্গন এলাকায় যারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের সকলকেই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন বাবু।
সেই সাথে পুলিশের সাথে সখ্যাতাতো আছেই। থানা হোক কিংবা ডিবি অফিস সবখানেই টাঙ্গন বাবুর পদচারণা। সেই সাথে হাতে রেখে চলেন ক্যাডার বাহিনী। তার এই ক্যাডার বাহিনীতে রয়েছে জামাত-শিবিরের ক্যডার সহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীও। সম্প্রতি এই বাবুর নামে বেশ কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর রাজশাহী থেকে প্রকাশিত অনলাইন পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও জাতীয় দৈনিক নব বার্তার রাজশাহীর ব্যুরো প্রধান এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ সোসাইটি রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি এম.এ হাবীব জুয়েলের বিরুদ্ধে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর একটি অমুলক ভিত্তিহীন অভিযোগপত্র জমা দেন। অভিযোগপত্র জমা দেয়ার পরও তার নামে সংবাদ প্রকাশিত হলে মাদক ব্যবসায়ী বাবু তার স্ত্রীকে দিয়ে একটি সাজানো মামলা করেছেন কাটাখালী থানাতে।
যদিও প্রশাসন অবগত, উক্ত মামলাটি একটি সাজানো মামলা তবুও রাজনৈতিক চাপের মুখে মামলা নিতে বাধ্য হন কাটাখালী থানা। আর বাবুকে উৎসাহিত করছে জামাত-শিবিরের কয়েকজন ক্যাডার। যাদের নামেও রয়েছে ডজন খানেক মামলা। তারা আবার হাইব্রিড আওয়ামীলীগ নামেও পরিচিত। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নাম কা ওয়াস্তে অনলাইন পত্রিকা খুলে সম্পাদক বনে গেছেন আবার কেউ কেউ রাজশাহী বাস টার্মিনালে হেল্পারী করতে করতে রাতারাতি সাংবাদিক বনে গেছেন। সবই নারায়ণের লীলা-খেলা।
এমতবস্থায় সাংবাদিক হাবিব জুয়েলের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীর সাজানো মামলার সমালোচনার ঝড় চলছে রাজশাহী নগর জুড়ে। মানব বন্ধনও করেছেন সাংবাদিক নেতারাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠন। রাজশাহী,নাটোর নওগাঁ, চাপায় নবাবগঞ্জ সহ সারা দেশের প্রায় ৮টি জেলায় মানববন্ধন করেছেন সাংবাদিকরা।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সিনিয়র সাংবাদিক হাবীব জুয়েলকে ফোন করলে তিনি জানান – একটি কুচক্রী মহল আমার উপর ঈর্সানীত্ব হয়ে আমাকে সমাজে হেয় করার জন্য অপচেস্টা চালাচ্ছে। তবে আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল,আশা করি সাংবাদিকসহ রাজশাহীর সুশীল সমাজ আমার সাথে আছে। আমি ন্যায় বিচার পাবো ইনশাল্লাহ।
মাদক ব্যবসায়ীর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এই মামলাকে অন্যভাবে দেখছেন রাজশাহীর সুশীল মহল। তারা বলছেন- মাদক ব্যবসায়ী জাতি ও সমাজের শত্রু এবং তাদের পুলিশ প্রশাসন যদি আশ্রয় দেয় তবে অপরাধীরা প্রতিনিয়ত পার পেয়ে যাবে। সেই সাথে প্রশ্নবিদ্ধ হবে সুশৃঙ্খল পুলিশের কার্যক্রম।