নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: সামাজিক জটিলতার প্রভাবে দেশে বিবাহিত নর-নারীর মধ্যকার সম্পর্কের বন্ধন দিন দিন শিথিল হয়ে পড়ছে। বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা গত এক দশকে দ্বিগুণ বেড়েছে। এর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদে দেশের শীর্ষ অবস্থায় আছে রাজশাহী বিভাগ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ হার সবচেয়ে বেশি রাজশাহী বিভাগে। কিন্তু কেন?
নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা উন্নয়নকর্মীরা বলছেন, তিন কারণে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদ। বিশেষজ্ঞদের চিহ্নিত তিন কারণ হলো— এ অঞ্চলে বাল্যবিয়ের হার বেশি, পারিবারিক সচেতনতার অভাব ও সীমান্ত অঞ্চল।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে শীর্ষে রাজশাহী বিভাগ। প্রতি হাজারে সেখানে এক দশমিক ৯ জনের বিচ্ছেদ হয়। রাজশাহীর পরে বিচ্ছেদ বেশি হয় খুলনায় এক দশমিক ৩ ভাগ।
রাজশাহী অঞ্চলে বিচ্ছেদের হার বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে মহিলা পরিষদের সভাপতি কল্পনা রায় জানান, এ অঞ্চলে বাল্যবিয়ে বেশি। বাল্যবিয়ের কারণে সেই বিয়ে বেশিদিন টেকে না। বাল্যবিয়ে রোধে যে সচেতনতা দরকার, সেটি গড়ে তোলা যায়নি। সমাজ, নারী সংগঠনগুলো এখনো সেই শিক্ষা দিতে পারছে না। ফলে বিচ্ছেদের হারটাও বাড়ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাজশাহীর ৩নং ওয়ার্ড কাজীর কার্যালয়ে গেলে দেখা যায় পাচুপুর,আত্রাই,নওগাঁ জেলার
সেরাজুল ইসলাম নামের এক ছেলের সাথে রাজপাড়া থানাধীন কাদিরগঞ্জ এলাকার আয়েশা খাতুন আশার ১বছর আগে বিবাহ সম্পন্ন হয়।কিন্তু বছর যেতে না যেতেই উভয়ের বিচ্ছেদ সম্পন্ন হচ্ছে।
জানতে চাইলে কাজী মনসুর রহমান বলেন-ছেলে মেয়ে উভয়েই বিচ্ছেদ চাচ্ছেন বলে মেয়ের দেন মোহরানা ২ লাখ টাকা ছেলে কর্তৃক পরিশোধ পুর্বক তালাকের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছি।
তবে কাজী মনসুর রহমান আরোও জানান – হঠাতই রাজশাহী অঞ্চলে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা আশংকা জনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।