যৌনপল্লী থেকে ৯৯৯-এ ফোন, বিক্রি হওয়া ১৪ তরুণী উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লী থেকে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’... বিস্তারিত→
পবা প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: হ্যাঁ, সংবাদের শিরোনাম যেমনটি দেখছেন ঠিক তার থেকেও বেশী বার মোবাইল ফোনেও স্থানীয় প্রশাসনকে বলার পরেও অবৈধ পুকুর খনন রুখতে পারেনি এলাকাবাসী।
সারাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসন যখন ব্যস্ত, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রাজশাহী পবা উপজেলার খড়খড়ি বাইপাস সংলগ্ন নজরুলের ভাটার পাশে হাইকোর্টের বিধি-বিধান উপেক্ষিত করে ফসলি জমি কেটে পুকুর খননে ব্যাস্ত রাজশাহী পবা উপজেলার মাহাবুল নামের এক ব্যাক্তি আর তাকে আশ্রয় ও মদদ দিচ্ছেন গুটিকয়েক দলীয় ক্ষমতাধর ব্যাক্তি।
করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে একজোট হয়ে যখন গোটা বিশ্ব লড়ছে ঠিক তখনই পবা উপজেলার ক্ষমতাধর কুলাঙ্গার শ্রেনীর কিছু মানুষ তখন পুকুর খনন নিয়ে ব্যাতি ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। যা এলাকাবাসী ও পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরুপ।
জাতীয় ভূমি নীতিমালা ২০০১’ উপেক্ষা করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন এবং প্রভাব খাটিয়ে সরকারি খাল দখল করে পুকুর খনন করলেও করোনাভাইরাস প্রতিরোধ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনা ব্যবস্থা নিচ্ছে না —এমন অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।সেই সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছেনা কারোর,মিলছে শুধু সান্ত্বনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী জানান, এ ক্ষেত্রে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজাম মুনিরকে ৪ বার ও পবা উপজেলার টিএনও শাহাদতকে ৫ বার এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে অবৈধ পুকুর খননের বিষয়ে পরপর ২ দিন অবগত করা হলেও পুকুর খনন চলমান রয়েছে বলে দাবী করেছেন এলাকাবাসী।
তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, সর্বশেষ শুক্রবার রাত ৯.৩০ পর্যন্ত ২টি ড্রেজার ও ৩টি ট্রাক্টর নিয়ে খনন কাজ অব্যহত ছিল।
পরিশেষে স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দের হস্তক্ষেপে বিষয়টি রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বরাবর অবহিত করলে তিনি বলেন- কিছু অসাধু লোকজন আবাদি জমি কেটে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন করে আসছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলার ইউএনও এবং এসিল্যান্ডরা পুকুর খননের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান করেও আসছেন। তারপরও কিছু কিছু এলাকায় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে পুকুর খনন করছে।
এবার আমরা অবৈধ পুকুর খনন বন্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছি। কোন ভাবেই কেউ যেন আবাদি জমি নস্ট করে পুকুর তৈরী করতে না পারে সেজন্য আমি নিজেই মাঠে নেমেছি। যেহেতু আবারোও অভিযোগ পাওয়া গেছে বিধায় আমরা অতি দ্রুত আইনের আওতায় তাদের নিয়ে আসব।
মন্তব্য করুন