রাজশাহীতে ট্রাফিক সার্জেন্টকে পিটিয়ে আহত করল ২ বখাটে
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে চেকপোস্টে কর্তব্য রত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্টকে... বিস্তারিত→
পবা প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: হরিয়ানের কু-খুন্ডিতে করোনাকে উপেক্ষা করে দিনরাত চলছে পুকুরখনন। করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে প্রশাসনের ব্যস্ত থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পুকুরখননে ব্যস্ত সময় পার করছে খনন সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
অপরিকল্পিত পুকুরখননের জন্যই রাজশাহী জেলার বিভিন্ন ফসলের মাঠে দেখা দিয়েছে জমির প্রকৃতি পরিবর্তন, দীর্ঘ মেয়াদি জলাবদ্ধতা, পুকুরখননে মাটি বহনে গ্রামীণ রাস্তা নষ্ট, ফসল উৎপাদন ব্যাহত, বিলের পানি বেরুনোর নালা (খাল, ড্রেনেজ) ব্যবস্থা না থাকায় গ্রামের বাড়ি-ঘরে জলাবদ্ধতা, কৃষিজীবীদের মধ্যে বেকারত্ব বৃদ্ধি, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্ঠনী নষ্ট, কৃষিকাজ না থাকায় যুব সমাজ মাদকে আসক্ত হচ্ছে এবং সর্বপুরি নগরীতে ভাসমান শ্রমিক বাড়ছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধে সাজিক দুরত্ব না মেনেই চলছে পুকুরখনন। এতে শ্রমিকদের মাঝে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতকছুর পরেও বন্ধ নেই পুকুরখনন।
শনিববার সরোজমিন পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের কু-খুন্ডি ঈদপাড়ায় দেখা একটি স্কেভেটর (পুকুরখনন যন্ত্র) দেদারসে মাটি কেটে চলেছে। ওই পুকুরের মাটি নিচ্ছে সাতটি ট্রাক্টর। প্রায় ৮ মিনিটে একটি ট্রাক্টরে মাটি ভর্তি করা হচ্ছে। আর এই মাটি বিক্রি হচ্ছে এলাকার ইটভাটায়। জানা গেছে প্রতি ট্রাক্টর মাটি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার থেকে ১২শ’ টাকায়।
পুকুরখননকারি পলাশ ও রফিকুল ইসলাম উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, পবা ভূমি অফিস থেকে পুকুরখননের অনুমতি নেওয়া আছে। অনুমতিপত্রে ওই পুকুরবৃদ্ধি নয় এবং মাটিও বিক্রি নয়, সেখানে পুকুরের পাড় বাধার কথা বলা আছে। পাড় না বেঁধে মাটি বিক্রি করছেন কেন এমন প্রশ্ন করলে তারা কোন জবাব দিতে পারেননি। তবে ওই পুকুরের মাটি বিক্রির জন্য এবং রাস্তা ব্যবহারে করোনা ভাইরাসে যারা ঘরের মধ্যে অবস্থান করছে তারাও ধুলা বালিতে নাজেহাল হচ্ছে। জামা-কাপড়সহ খাবারও নষ্ট হয়ে পড়ছে।
রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল বারী ভুলু উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে জানান, কয়েক বছরে তার ইউনিয়নের অর্ধেক আবাদি জমি পুকুরে চলে গেছে। যেটুকু জমি অবশিষ্ট ছিল নতুনভাবে তাতেও চলতে শুরু করেছে খননযন্ত্র। অপরিকল্পিত পুকুর খননে জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করছে।
পবা উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি আবুল হায়াত উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, ‘রেকর্ডে পুকুর থাকলে সেটা হয়তো পুণঃখননের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কোন পুকুরের পাড় বাঁধার জন্য অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না’।
মন্তব্য করুন