১০ জরুরি পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করে দিলো সরকার
স্টাফ রিপোর্টার : দেশের সব বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে... বিস্তারিত→
নিজস্ব প্রতিবেদক,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: প্রয়াত নেতা মাসুদুল হক ডুলুর ১২ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে অনেকটা ক্ষোভ,দুঃখ কস্ট নিয়ে ফেসবুকে তার আপন ছোট ভাই মোহায়মেনুল হক নিশান একটি পোষ্ট দিয়েছেন । সেখানে তিনি তার আবেগাপ্লুত লেখনীতে উল্লেখ করেছেন – রাজশাহী আওয়ামীলীগের একজন ধারক,ক্রীড়া ব্যাক্তিত্ব ও সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ট বাঙ্গালী শেখ মুজিবুর রহমান এবং এ,এইচ,এম, কামারুজ্জামানের মুক্তিযুদ্ধ আন্দোলনের ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করলেও আজ অনেকের স্মৃতি থেকে ম্লান হয়ে যাচ্ছেন এই নেতা। নিম্নে মোহায়মেনুল হক নিশানের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হল –
১১ই সেপ্টেম্বর ২০২০ সাল। রাজশাহীর জনপ্রিয় আওয়ামীলিগ প্রয়াত নেতা জনাব মাসুদুল হক ডুলু-র ১২ তম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০০৯ সালে ১১-ই সেপ্টেম্বর তাঁর ১ম মৃত্যু বার্ষিকী ছিল। রাজশাহীর স্বপ্নীল কমিউনিটি সেন্টারে তাঁর ১ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাজশাহীর প্রায় সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহন করেছিলেন।
রাজনৈতিক নেতারা ডুলু-র স্মৃতিচারন করতে গিয়ে তাদের বক্তব্যে বলেছিলেন-“ডুলু রাজশাহীর কৃতি সন্তানদের অন্যতম। বহুগুনের অধিকারী ব্যক্তিত্ব ছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে স্কুল ও কলেজ জীবনে তিনি ক্রীড়াবিদ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঐ অবস্হা থেকেই তিনি ততকালিন দেশের বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আওয়ামীলীগ শীর্ষ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান, এ.এইচ.এম কামারুজ্জামান,আব্দুল কুদ্দুস, সরদার আমজাদ হোসেন প্রমুখের অনুপ্রেরনায় মুক্তিযুদ্ধ আন্দোলনের ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে তাঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন।
১৯৭১সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন শেষে স্বাধীনতার পর রাজশাহী সরকারি কলেজ ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর আওয়ামীলীগের শীর্ষনেতাদের নির্দেশনা অনুযায়ী রাজশাহী তথা দেশের উন্নয়নে কাজ করতে থাকেন। ডিগ্রী পাশ করে লিখাপড়া ছেড়ে রাজনীতির পাশাপাশি ১ম শ্রেনীর কনট্রাক্টর হিসেবে পেশা ও সংসার জীবন শুরু করেন।
১৯৭৫ সালে দেশের আওয়ামীলীগের কিছু শির্ষনেতার অনাকাংখিত মৃত্যুর পর দেশের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি কিছুদিন ঢাকায় অবস্হান নিয়ে ততকালিন দেশের শীর্ষ চলচ্চিত্র অভিনেতা অভিনেত্রীবৃন্দের সাথে(রাজ্জাক,ববিতা, শুভ্রা প্রমুখ)”বাজীমাৎ”ছবিতে সহোনায়ক হিসেবে সাফল্যর সাথে অভিনয় করেছেন।
দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তিনি রাজশাহী ফিরে এসে পুনরায় আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার কাজ শুরু করেছিলেন।রাজনীতির পাশাপাশি তিনি দির্ঘদিন জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক ও সহ-সভাপতি হিসেবে সুনামের সাথে কাজ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের পর রাজশাহী তথা দেশে আওয়ামীলীগ কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়লে তিনি নিজ অর্থায়নে দলকে শক্তিশালী করার জন্য স্বক্রীয় ভুমিকা রেখেছিলেন। তিনি অনেক নেতা কর্মী অনুসারী শুভাকাংখী তৈরি করেছেন । নিস্বার্থভাবে অনেকের উপকার করেছেন”।
রাজশাহীর রাজনৈতিক শীর্ষনেতারা ডুলু-র এধরনের অনেক গুনগান করার পর অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবার সামনে একবাক্যে সেদিন ঘোষনা দিয়েছিলেন যে- রাজশাহীতে ডুলু-র নামে স্থায়ীভাবে স্মৃতি হিসেবে একটা কিছু করা উচিত এবং করবেন।
সেটা হতে পারে রাস্তার নাম,অডিটরিয়ামের নাম,জিমনেসিয়ামের নাম,রাস্তার মোড় বা চত্বরের নাম ইত্যাদি। আজ ডুলু-র মৃত্যুর ১২ বছর হলো। রাজশাহীতে অনেক যোগ্য অযোগ্য ব্যাক্তির নামে অনেক কিছু হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় জনপ্রিয় ন্যায়পরায়ন দুর্নীতিমুক্ত সৎ-সাহসী রাজনীতিবিদ,সমাজ সেবক, ক্রীড়া সংগঠক,বীর মুক্তিযোদ্ধা ডুলু-র নামে কিছু হলো না।
তাঁর ছোট ভাই ও রাজশাহী মহানগরীর নাগরিক হিসেবে অনেক দুঃক্ষ ও আশা নিয়ে আমি রাজশাহীর রাজনৈতিক শীর্ষনেতাদের ২০০৯ সালে দেয়া সেই আশ্বাসের কথা স্মরন করিয়ে দেয়া দ্বায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করে এই পোস্ট দিলাম।
আমরা পরিবারের পক্ষ থেকে ডুলু-র জন্য সকলের দোয়া কামনা করছি।
https://mbasic.facebook.com/story.php?story_fbid=4222586311145460&id=100001823988802
মন্তব্য করুন