একজন মানবিক পুলিশ কমিশনার
স্টাফ রিপোর্টার :: করোনা কিংবা কোভিড-১৯ নামে এক ঘাতকের আঘাতে... বিস্তারিত→
নিজেস্ব প্রতিবেদক উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বাক-স্বাধীনতার নামে আমরা যেমন ধর্মীয় অবমাননা সমর্থন করি না। আবার একইসঙ্গে এ ইস্যুতে কোনো ধরনের সংঘাতও সমর্থনযোগ্য নয়। তাই ফ্রান্স ইস্যুতে সব পক্ষকে সংযত থাকার অনুরোধ করছি।
মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনীতি রিপোর্টারদের সংগঠন ডিক্যাব সদ্যস্যদের ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
একই সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর সঙ্গে ধর্মীয় বিষয়গুলোকে মেশানোর পরিবর্তে সবাইকে ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
এসময় ডিক্যাব সভাপতি আ্ঙ্গুর নাহার মন্টি এবং সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কোনও ব্যক্তি বা দল নির্ভর নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। তিনি বলেন, ‘এটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত। সেই হিসেবে আমি মনে করি না যে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের যে বাজার রয়েছে সেটিতে (নির্বাচনের) কোনও প্রভাব পড়বে। যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক রয়েছে সেটিও যথেষ্ট ঊর্ধ্বমুখী।’
এই সম্পর্ক ধরে রাখাটাই কাজ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন কোনও ইঙ্গিত পাইনি যে কোনও ব্যক্তির জয়লাভের কারণে এর বিপরীত কোনও পরিস্থিতি তৈরি হবে। আমাদের যে দাবিগুলো আছে তারা বিভিন্ন কারণে কিছু সুবিধা স্থগিত করেছিল। তার জন্য কূটনৈতিক চেষ্টা থাকবে সেগুলো পুনস্থাপন করার জন্য। তবে অবশ্যই যদি সরকার পরিবর্তন হয়, তবে নতুন করে শুরু করতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। কেউ বলতে পারছে না কে জিতবে? তবে অনেকে ডেমোক্র্যাটদের এগিয়ে রেখেছেন।’
যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি সেক্রেটারি স্টিফেন বিগ্যানের সফরের সময়ে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা নিয়ে ধোঁয়াশার বিষয়ে সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তা আমাদের কোনও নির্দিষ্ট প্রস্তাব দেননি।
ওই দিন বিগ্যান আমাদের সাধারণভাবে বলেছেন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজিতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা বলেছি অর্থনৈতিক যে কোনও প্রস্তাবে আমরা আলোচনা করতে প্রস্তুত।
মন্তব্য করুন