একজন মানবিক পুলিশ কমিশনার
স্টাফ রিপোর্টার :: করোনা কিংবা কোভিড-১৯ নামে এক ঘাতকের আঘাতে... বিস্তারিত→
স্টাফ রিপোর্টার : বছরের প্রথম দিন থেকে রাজশাহী মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ভাড়া বেড়েছে। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) থেকে বাড়তি এ ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর রাজশাহী ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতি সংবাদ সম্মেলন করে ১ জানুয়ারি থেকে ভাড়া বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছিল। জানা যায়, শুক্রবার থেকে নগরের প্রতিটি রুটে আগের ভাড়ার সঙ্গে তিন টাকা বাড়ানো হয়েছে। তবে সর্বনিম্ন এক কিলোমিটারের মধ্যে অটো ভাড়া পাঁচ টাকাই রাখা হয়েছে।
রাজশাহী ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক কল্যাণ সমবায় সমিতি বলছে, বিগত ১০ বছরে তিন দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়েছে। সিটি করপোরেশনের নিয়মানুযায়ী এখন সব অটোরিকশা একসঙ্গে সড়কে নামতে পারে না। পালাক্রমে গাড়ি চলাচল করে। তাছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে চালকরা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। এ কারণে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে ভাড়া বাড়া অযৌক্তিক বলছেন নগরবাসী। তারা বলছেন, অটোরিকশা চলাচল করে সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সে। তাই ভাড়া বাড়াতে হলে সিটি করপোরেশনের সিদ্ধান্ত থাকতে হবে। এছাড়া জেলা প্রশাসনেরও মতামত দরকার। অটোরিকশার চালক-মালিক, সাধারণ যাত্রী, সিটি করপোরেশন ও জেলা প্রশাসনের যৌথ সভায় আলোচনা করেই ভাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কিন্তু এসবের কিছুই না করে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ইচ্ছে মতো। এতে যাত্রীদের পকেট কাটা যাচ্ছে।
রাজশাহী মহানগর ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রিমন হোসেন বলেন, এক কিলোমিটারের বেশি সড়কের জন্য সব রুটে তিন টাকা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এটা খুব বেশি না। তাছাড়া ১০ বছর পর আমরা ভাড়া বাড়িয়েছি। এটা যৌক্তিক।
তিনি আরও বলেন, ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে আমরা জেলা প্রশাসক, রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে স্মারকলিপি দিয়েছি। তারা কোনো সিদ্ধান্ত না জানালেও আমাদের দাবির বিরোধিতা করেননি। তাই আমরা ভাড়া বাড়িয়েছি।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. নূর-ঈ-সাঈদ বলেন, ইজিবাইক মালিক-শ্রমিক সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে একটা স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আলোচনা ছাড়া তো আমরা কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারি না। সবার সঙ্গে সমন্বয় করেই ভাড়া নির্ধারণ করা উচিত। কিন্তু এটা হয়নি।
মন্তব্য করুন