বিটকয়েনের রমরমা বানিজ্যে এবার ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের কে এই আনিস ?
স্টাফ রিপোর্টার,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::
রাজশাহীতে হঠাৎ করেই বাড়ছে বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্য অপরাধ প্রবনতা। এর মধ্য অনলাইনে আইপিএল,বিপিএল এর জুয়া অন্যতম। এখন আবার বিটকয়েনের বানিজ্য রমরমা।
এদিকে রাজশাহী নগরীতে প্রিমিয়ার ব্যাংকের শাখায় কর্মরত এক কর্মকর্তা ভল্ট থেকে প্রায় ৩কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার জুয়া খেলে আইন- শৃংখলা বাহীনির হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর সেই সংবাদ রীতিমত ভাইরাল হয়ে যায়।
কিন্তু সম্প্রতি এমনই একজন ব্যাক্তির সন্ধান পাওয়া গেছে যিনি ওষুধ কোম্পানির লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে করে চলেছেন বিট কয়েনের রমরমা ব্যবসা।
ঐ ব্যাক্তির নাম আনিসুর রহমান আনিস। তিনি রাজশাহী ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালে রিজিওনাল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এরিষ্টোফার্মায় কর্মরত কয়েকজন কর্তা ব্যাক্তি জানিয়েছেন- ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের প্রায় অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দিয়ে তিনি চালু করেছেন বিট কয়েনের রমরমা ব্যবসা।
আর সেই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের অনুমোদনবিহীন অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম পাইওনিয়ার, নেটেলার, স্ক্রীলের মাধ্যমে নামে বেনামে লক্ষ লক্ষ টাকার অনলাইনে লেনদেন করে চলেছেন। এতে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছেও বাংলাদেশ সরকার। সেই সাথে বাংলাদেশ ব্যাংক বহির্ভূত এই সকল অবৈধ লেনদেন করে চলেছেন প্রতি মূহুর্তেই।
সংশ্লীষ্ট সূত্রটি আরোও জানায়, তিনি তার স্ত্রীর নামে ও শ্বসুর বাড়ীর আত্মীয় স্বজনের নামে বেমামে অনলাইনে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্ট খুলে রেখেছেন।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, তিনি তার স্ত্রীকেও অনলাইনে টাকা লেনদেনের বিষয়ে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন। আবার কখনো কখনো কোন কোন টাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রেও স্ত্রীকে পাঠিয়ে।
তবে সার্বিক বিষয় নিয়ে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালের রিজিওনাল অফিসার আনিসুর রহমান আনিস মুঠোফোনে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনের এই প্রতিনিধিকে জানান – বিষয়গুলো সত্য নয় তবে কর্তৃপক্ষ আমাকে ওএসডি করে রেখেছেন কেন জানিনা।
তবে অনলাইনে জুয়া খেলার বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বলেন- জুয়া অনলাইনে হোক আর অফলাইনে দুই ভাবে তা আইনত গ্রহনযোগ্য বিষয় নয়। তবে বিট কয়েন কিংবা নেটেলারে লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক অবৈধ লেনদেন হিসেবে গন্য করা হয়। এক্ষেত্রে এই ধরনের অপরাধ প্রমানিত হলে তা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।