সরকারী সম্পদ লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের দ্বায়ে ৩০০ জনের নামে মামলা

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: রাজশাহীতে রেললাইনে আগুন দিয়ে সম্পদ নষ্ট, ভাংচুর ও মালামাল চুরির অভিযোগ এনে এবার মামলা করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গেল সোমবার রাতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ভবেশ চন্দ্র রাজবংশী বাদী হয়ে রাজশাহী রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় এঅ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৩০০ জনকে অজ্ঞাত করে আসামী করা হয়েছে । মামলার  বিষয়টি উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জিআরপি থানার ওসি গোপাল কর্মকার। 

 

 

 

জিআরপি থানার ওসি গোপাল কর্মকার বলেন, সোমবার রাত ১১টার দিকে মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১২/০৩/২০২৩ ইং তারিখে অর্থাৎ রোববার রাত ৭.৪৫ মিনিটের দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা গেট এলাকায় রেললাইনে আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তারা রেলওয়ের রেল ক্রসিংয়ের গুমটি ঘরের জানালা ভাঙচুর করে এবং রেললাইন থেকে ৯২টি প্যান্ডেল ক্লিপ ও একটি স্টিল স্লিপার নিয়ে চলে যায়। এছাড়া আগুনে পুড়ে ৩টি কাঠের স্লিপার সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়।

 

 

 

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) অসিম কুমার তালুকদার এক সাক্ষাতকারে উত্তরবঙ্গ প্রতিদিনকে বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় কিছু জিনিস নষ্ট হয়েছে। কিছু জিনিস তারা নিয়ে গেছে। তার বিবরণী থানায় মামলার সাথে জমা দেয়া হয়েছে।

 

 

 

উল্লেখ্য যে,  গত শনিবার বগুড়া থেকে বাসে করে রাজশাহী আসছিলেন রাবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী। সিটে বসাকে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তির সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জেরে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার জেরে রোববার দিনভর বিক্ষোভ উত্তাল ছিল ক্যাম্পাস। এর অংশ হিসেবে রোববার রাতে রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। রাত ১২টার দিকে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিক্ষার্থীরা সরে গেলে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

 

 

 

এ সকল ঘটনার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও পুলিশের পক্ষ থেকে ২টি মামলা করা হয়। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিহার থানায় দায়ের করা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মামলায় আসামী করা হয় ৫০০ জনকে। আর পুলিশের মামলায় আসামী করা হয়েছে ৩০০ কন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে। এ ছাড়া ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

 

 

আরোও উল্লেখ্য যে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সঙ্গে প্রথমে সংঘর্ষ হয় স্থানীয়দের। এরপরেই ছাত্রলীগের কিছু কর্মী বিনোদপুর বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘরে আগুন ধরিয়ে  দিলে সংঘর্ষ পর্যায়ক্রমে বাড়তে থাকে।


 


সরকারী সম্পদ লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের দ্বায়ে ৩০০ জনের নামে মামলা

সংবাদটি শেয়ার করুন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।