নিজস্ব প্রতিবেদক, উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন ::রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৩ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে তাদের আটক করা হয়। এরা হলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েছে পুলিশ। আজ বুধবার বেলা সোয়া ৪ টার দিকে পুলিশের একটি দল সেখানে ঢুকে পড়ে। এরপর বেলা সাড়ে চারটার দিকে সেখানে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এ সময় ভেতরে ঢুকতে গেলেও পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। পরে প্রায় ২০ মিনিট পর তাঁকে কার্যালয়ে ঢোকার অনুমতি দেয় পুলিশ। তবে তিনি কার্যালয়ে না ঢুকে সামনেই বসে পড়েছেন।
বিকেল পাঁচটায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফখরুল ৫টার সময় সামনেই বসেছিলেন। এদিকে বেলা সোয়া চারটার দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী (এ্যানি) ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসকে আটক করে পুলিশ ।আজ বেলা ৩টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজন নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে পুলিশের অভিযান শুরু হলে বেলা সাড়ে চারটার দিকে মির্জা ফখরুল সেখানে আসেন। এ সময় কলাপসিবল গেট বন্ধ করে দেয় পুলিশ। মির্জা ফখরুলকে সেখানে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। মির্জা ফখরুল এ সময় বলেন, আমার দলের কার্যালয়ে কেন আমি ঢুকতে পারব না। সবার দায়িত্বশীল আচরণ করা উচিত।
এ সময় পুলিশের এক সদস্যকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাকে আমরা ঢুকতে দিতে পারি না কারণ ভেতরে বিস্ফোরক আছে। আপনার নিরাপত্তার স্বার্থেই সেখানে ঢুকতে দিতে পারি না। ’তবে একটু পর পুলিশ মির্জা ফখরুলকে ঢুকতে দিতে চাইলেও তিনি সেখানে না ঢুকে কার্যালয়ের সামনে বসে পড়েন। এদিকে বেলা সাড়ে চারটার দিকে শহীদ উদ্দীন চৌধুরীকে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে আটক করে পুলিশ।